ওমিক্রন : ফ্রান্সে একদিনে রেকর্ড এক লাখের বেশি করোনা শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:২৭

গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত। ছবি : রয়টার্স
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জনের দেহে করোনা জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সরকার এ তথ্য জানায়। করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এ রেকর্ড হলো।
গত ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১ হাজার ৬০৮। ২৫ ডিসেম্বর সেই সংখ্যা এক লাখ ছাড়ানোয় দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। যা করোনা মহামারি শুরুর পর গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাজ্য, তারপরই ফ্রান্স। সংক্রমণের গতি দেখে কয়েকদিন আগেই ফরাসি সরকার ঘোষণা করেছিল, খুব শিগগিরই এক লাখ ছাড়াবে দৈনিক সংক্রমণ। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই মাত্র দুইদিনের ব্যবধানেই দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিয়ে টানা তিনদিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স। ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ ইউরোপের দেশগুলোতে। কোভিডের এই নতুন রূপের প্রভাবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় ফরাসি প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই ফ্রান্সে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার ডোজ টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাস তাদেরই দেওয়া হচ্ছে যাদের করোনার টিকা দুই ডোজই নেওয়া হয়ে গেছে। রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দু’টি টিকা নেওয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদ ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যেমন স্যাভয়েতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যান্য শহরও নিজেদের মতো করে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আমূল বদলে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তম। দেশটিতে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৯০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭১ জনের আর মোট মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৫৪৬ জনের।